খন্দকার মোশাররফ হোসেন দুদকের মামলায় খালাস
- By Jamini Roy --
- 01 December, 2024
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন দুদকের অবৈধ সম্পদ অর্জন এবং মানি লন্ডারিংয়ের মামলায় খালাস পেয়েছেন। রোববার (১ ডিসেম্বর) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৮ এই রায় দেন। এর আগে, গত ২২ আগস্ট তিনি মানি লন্ডারিংয়ের মামলায়ও খালাস পেয়েছিলেন। আদালত খন্দকার মোশাররফের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাকে খালাস প্রদান করেন।
রায় ঘোষণার সময় খন্দকার মোশাররফ হোসেন আদালতে উপস্থিত ছিলেন। ঢাকার বিশেষ জজ ১-এর বিচারক আবুল কাশেম এ রায় ঘোষণা করেন। এই রায়ে, আদালত বলেছেন যে, অভিযোগের কোনো প্রমাণ তারা পায়নি এবং এই মামলাটি রাজনৈতিক প্রতিহিংসার অংশ ছিল।
মামলার সূত্রে জানা গেছে, ২০১৪ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি দুদকের পরিচালক নাসিম আনোয়ার রমনা মডেল থানায় খন্দকার মোশাররফ হোসেনের বিরুদ্ধে মানি লন্ডারিংয়ের অভিযোগে মামলা দায়ের করেন। একই বছরের ১৪ আগস্ট দুদক তার বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করে। এরপর ২০১৫ সালের ২৮ অক্টোবর, তার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে আদালত বিচার শুরুর আদেশ দেয়। এই মামলায় মোট ৯ জন সাক্ষী আদালতে সাক্ষ্য দেন।
মামলার মধ্যে, অভিযোগ উঠেছিল যে, ২০০১ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত ক্ষমতায় থাকা অবস্থায় খন্দকার মোশাররফ এবং তার স্ত্রী বিলকিস আক্তার হোসেন যৌথভাবে যুক্তরাজ্যের লয়েড টিএসবি অফশোর প্রাইভেট ব্যাংকে ৮ লাখ ৪ হাজার ১৪২.৪৩ ব্রিটিশ পাউন্ড জমা করেছেন, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৯ কোটি ৫৩ লাখ ৯৫ হাজার ৩৮১ টাকার সমান। দুদক তদন্তে জানিয়েছিল যে, এই অর্থ পাচার করা হয়েছিল। তবে খন্দকার মোশাররফের আইনজীবী তাহেরুল ইসলাম তৌহিদ আদালতে জানান, ২০০১ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত এই অর্থ পাচারের কোনো প্রমাণ তারা আদালতে উপস্থাপন করতে পারেনি। ফলে আদালত অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তার মক্কেলের খালাসের রায় দেয়।
আইনজীবী তৌহিদ আরও দাবি করেন, এই মামলা ছিল রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে করা এবং এটি খন্দকার মোশাররফ হোসেনের বিরুদ্ধে একটি প্রতিহিংসামূলক পদক্ষেপ। মামলায় দীর্ঘ দিন ধরে চলা বিচার প্রক্রিয়ার পর, আদালত কোনো অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাকে খালাস দিয়েছে।